Serial | Heading | Attachment |
---|
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য বাতায়নে স্বাগতম। সভ্যতার ক্রমবিকাশ, শাসন ব্যবস্থার বিবর্তন এবং আধুনিক ধ্যান-ধারণার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেবার সার্বিক উদ্যোগ এবং বাস্তবায়নই হলো সুশাসন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলে ছিল বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার প্রত্যয়। স্বাধীনতার সার্থকতা তখনই লাভ করবে যখন রাষ্ট্র দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষার মত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের পর রাষ্ট্রের সসীম সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসবে। আর এ ধরণের দর্শনকে সফল করার মূল হাতিয়ার হলো একটি অধিক সক্ষম জনকল্যানমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ এদেশের উন্নয়নে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ ও তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছে। ধারবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে মধ্যমে আয়ের পর্যায় পেরিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুখী-সমৃদ্ধ এক উন্নতে জনপদে পরিণত করাই হবে ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর প্রধান লক্ষ্য।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার ‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’ পৌঁছে দেয়ার মূলমন্ত্র নিয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতিমালা, পরিকল্পনা, ও সিদ্ধান্তমসূহ দ্রুত ও সফলতার সাথে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং জেলার বাইরে প্রত্যেকেই এই ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে ডিজিটাল সেবা স্বল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী উপায়ে গ্রহণে করতে সক্ষম হবেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের এই প্রয়াস। এতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত সকল সেবা এবং সেবা গ্রহণের পদ্ধতি সহজে জানা যাবে।
জেলার তথ্য বাতায়নসহ জেলার অন্যান্য সরকারি দপ্তরের পোর্টাল, উপজেলা ও ইউনিয়নের ওয়েব পোর্টালে জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বিজ্ঞপ্তিসমূহ নিয়মিত কার্যক্রমের তথ্যাদি ছাড়াও কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের বিবরণ হালনাগাদকরণের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে আরো নিবিড়ভাবে জেলা প্রশাসনের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা সুদৃঢ় করা সম্ভব হবে।
জেলার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিবরণসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরসমূহের কার্যক্রম ও কাঠামো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ কার্যালয়ের বিবেচ্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং বিজ্ঞপ্তিসমুহ নিয়মিত প্রকাশ ও হালনাগাদ করা হবে। পাশাপাশি যে কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য সরাসরি এ তথ্য বাতায়ন (ওয়েব সাইট) ব্যবহার করা যাবে যার মাধ্যমে মেইল-বক্সের সহায়তায় তা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা যাবে। প্রয়োজনে সরাসরি যে কোন কর্মকর্তাকে ই-মেইল করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। আমি আশা করি, এই ওয়েব পোর্টালটি জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করতে যেমন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি তাদের সেবাপ্রাপ্তি হবে সহজতর ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ। এই পোর্টালটি থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরকারি ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে। জানা যাবে বিভিন্ন লাইসেন্স/পারমিট প্রাপ্তির নিয়মাবলী/শর্তাবলী। এছাড়া জানা যাবে, কোন শাখা হতে কি কি সেবা কি নিয়মে/পদ্ধতিতে এবং কত সময়ে প্রদান করা হয়, পাওয়া যাবে ইজারা বিজ্ঞপ্তি/নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন নোটিশ/অফিস আদেশ ইত্যাদি। এছাড়া সময়ের পরিসরে এই পোর্টালে আরো অনেক বিভাগের/দপ্তরের বিশেষতঃ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের তথ্য সন্নিবেশন করা হচ্ছে। এর ফলে নাগরিকের বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তিই কেবল সহজতর হবে না, প্রশাসনের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে। একবিংশ শতাব্দীর তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কল্যাণে ওয়েব পোর্টালটি কার্যকরী ভূমিকা রাখেবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এটি শুধু চুয়াডাঙ্গাবাসীকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের সুযোগ দিয়েই গৌরবান্বিত করবে না, সেই সাথে বর্তমান সরকারের তথ্য অধিকার আইনের আওতায় জানার অধিকারকে করবে সুপ্রতিষ্ঠিত- ফলে বাড়বে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এই তথ্য বাতায়নটি চালু করার মূল উদ্দেশ্য দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকারের সাথে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। ২০২১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের পথে এই জেলার জনগণের সাথে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাব আমরা, এগিয়ে যাবে দেশ সুন্দর আগামীর দিকে, সেই প্রত্যাশায়...
মোছা: জেসমিন আরা খাতুন
একটি সভ্য জাতি বিনির্মানে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার রস ও মার্ধুয নিয়ে প্রতিটি মানুষ যখন নিজেকে সঠিক কাজে উৎর্সগ করে তখন জাতির কল্যাণ নিশ্চিত হয়। আবার শিক্ষালাভের মধ্য দিয়ে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে এবং অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সে সত্য আবিষ্কার করেতে সক্ষম হয়।
অত্র বিদ্যালয় টি শুরু থেকেই শিক্ষার গুনগত মানকে সমুন্নত করে আসছে। দক্ষ গভর্নিংবডির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অভিজ্ঞ, সৃজনশীল, উদ্যমী ও ত্যাগী শিক্ষক-শিক্ষিকার পরিচর্যায় তৈরি হচ্ছে অসীম জ্ঞানের এক নিকুঞ্জ। আর তা থেকে বেড়িয়ে আসছে এক আত্মবিশ্বাসী জাতি। ভর্তি প্রক্রিয়া, ফলাফল তৈরী ও প্রকাশ, বিশেষ করে শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে রয়েছে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতি।
আমাদের বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট টি সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারন মানুষের জন্য রয়েছে উন্মুক্ত। মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা সহ কারিগরি শাখা চালু আছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বিদ্যমান। প্রভাতি শাখায় বালিকা ও দিবা শাখায় বালক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সুন্দর জীবন কামনা করছি।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে
ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (সংক্ষেপে ভি. জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়।[৬][৭] ১৮৮০ সালে এই বিদ্যালয়টি চুয়াডাঙ্গার বিদ্যোৎসাহী জমিদার আবুল হোসেন জোয়ার্দার কর্তৃক চুয়াডাঙ্গা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় বিদ্যালয়ের নাম ছিল এস,ই,স্কুল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদ্যালয়টিতে মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং দেওয়া হতো। বিদ্যালয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ২০১১ সালে স্কুলটির শ্রেণীর কার্যক্রম প্রভাতী ও দিবা এই দুই শিফটে বিভক্ত হয়। স্কুলটিতে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা দেয়া হয়।
স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী জমিদার আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দার সাহেব ১৮৮০ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার সময় এই বিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় এস.ই.স্কুল ।[১] পরবর্তীতে এই বিদ্যালয়টি এইচ.ই.স্কুলে উন্নীত হয়। আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দার বিদ্যালয়ের জন্য সাত একর জমি দান করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে প্রচলিত আছে:- "জ্ঞানের আলো জ্বালাতে হেথায় সকলের ঘরে ঘরে আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দার বিদ্যালয় গড়েন চুয়াডাঙ্গা শহরে"। শুরুতে কারা আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের সহকর্মী ছিলেন, কতজন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়টি চালু হয়েছিল, সেই ইতিহাস কালের জানা যায় নি।[৮]
আবুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের পরবর্তীতে জনাব মন্মথনাথ গুই এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৮৮৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়া শাসনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরিয়া জুবিলি এইচ,ই,স্কুল সংক্ষেপে ভি, জে, এইচ,ই,স্কুল। একই উপলক্ষে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই শহরেও একটি ভি,জে হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।[৮]
প্রথমে টিনের ঘরে পাঠদান শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯২৮ সালে পাকা দালান নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সরকারীকরণ হয়।[৮][১] তখন থেকে এই বিদ্যালয়ের নামের সাথে সরকারি যুক্ত করা হয় অর্থাৎ ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (সংক্ষেপে ভি, জে, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সক্রিয় অংশগ্রহণ চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। শিক্ষা বোর্ড (যশোর শিক্ষা বোর্ড[১]) কর্তৃক সকল ধরনের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে বিদ্যালয়টি জেলার মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে।[৯] বিদ্যালয়টির ক্রমে ক্রমে শিক্ষার মান ও ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে ও আরো অধিক ছাত্রদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম দুইটি শিফটে রুপান্তর করা হয়।[৮] বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে সবক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হতো। তবে ২০২২ সালের ৩০ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (সংক্ষেপে মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৪টি নির্দেশনা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার না করে পুর্ণ নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বিলাল হোসেন ৩ এপ্রিল বিদ্যালয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিদ্যালয়ের পূর্ণ নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল লেখার কাজ সমাপ্ত করেন। তারপরও স্থানীয়রা বিদ্যালয়টিকে ভি,জে, স্কুল বলে সম্বোধন করে।
ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইটি মাঠ রয়েছে একটি বিদ্যালয়ের ভিতরে অপরটি বিদ্যালয়ের বাইরে। বিদ্যালয়ে স্থাপনা বলতে রয়েছে: একটি চারতলা, একটি তিনতলা, পাঁচটি দুইতলা ভবন যার মধ্যে দুইটি ছাত্রাবাস এবং একাধিক একতলা বিশিষ্ট ভবন। এছাড়া বিদ্যালয়ে দুইটি সাইকেল গ্যারেজ, একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ, একটি দ্বিতল মসজিদ, একটি বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট[১০] এবং একটি স্থায়ী মঞ্চসহ মিলনায়তন রয়েছে। এখানে একটি কম্পিউটার ল্যাব ছাড়াও দুইটি স্থায়ী মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, চারটি পৃথক ল্যাব রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষার জন্য। এখানে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।[১১] বহু পুরাতন বিদ্যালয় হওয়ায় এ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি বেশ সমৃদ্ধ ও বড়। এই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বহুপুরাতন বই সংরক্ষিত আছে। এখানে পাঠসহায়ক বইসহ, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কৌতুক, ইতিহাস গ্রন্থ, প্রবন্ধ, বিজ্ঞানভিত্তিক বই ও ধর্মীয় বই সহ বিভিন্ন ধরনের ১০,০০০ বই সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও স্কুল মাঠের একপাশে শহীদ মিনার আছে।[১২]
২০২০ সালের পূর্বে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যোগ্য ছাত্ররা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করত। তবে বর্তমানে লটারির মাধ্যমে ভর্তির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় শ্রেণীতে প্রতি শাখায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। প্রভাতী শিফটে ১২০ জন ও দিবা শিফটে ১২০ জন সহ মোট ২৪০ জন ভর্তি হতে পারে। এছাড়াও ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রভাতী শিফটে ১২ জন ও দিবা শিফটে ১২ জন সহ মোট ২৪ জন ভর্তি হতে পারে। ডিসেম্বর মাসেই এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়।[১৩]
বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম দুইটি শিফটে বিভক্ত প্রভাতী ও দিবা। বিদ্যালয়ে উভয় শিফটে ৬টি পিরিয়ডে বিভক্ত করে শ্রেণী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রভাতী শিফটের শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এবং শেষ হয় দুপুর ১২ টায়। দিবা শিফটের শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে এবং শেষ হয় বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে। তবে এই সময়সীমা শুধুমাত্র ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণীর জন্য ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণী কার্যক্রম কিছুটা কম। উভয় শিফটে ৩য় পিরিয়ডের পর ৩০ মিনিটের জন্য বিরতি থাকে। এই সময় ছাত্রদের টিফিন দেওয়া হয়।[১]
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহঃ | শুক্র | শনি |
---|